সর্বশেষ

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

 

 রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৩ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। 


ভলকানো ডিসকভারি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪১ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। 


ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে এ কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মাত্রা ছিল ৪.১।
সর্বশেষ ৬ সেপ্টেম্বর রংপুর ও আশপাশের এলাকায় মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় এ ভূমিকম্প।

গত ২৮ এপ্রিল (রোববার) বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। রাত ৮টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪। হালকা ভূমিকম্প হওয়ায় সেসময় কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২ জুন মিয়ানমারে ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত করে, যা অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলাতেও। ঢাকা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ৪৪২ কিলোমিটার দূরে। ৫৯ সেকেন্ড এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

তার আগে ২০ এপ্রিল চট্টগ্রামে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৩.৭ মাত্রার একটি মাঝারি ভূমিকম্প বন্দরনগরী থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে। মৃদু ভূমিকম্পটির অবস্থান ছিল ভারত সীমান্ত থেকে ৩৪ কিলোমিটার ও মিয়ানমার থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৭ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান ওই সময় জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬। এর উৎপত্তিস্থল পাবনা জেলার আটঘরিয়া। ওই ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি। 



২০২৩ সালে যত ভূমিকম্প

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ১১টি হালকা ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। এতে জানমালের তেমন ক্ষতি না হলেও বড় ধরনের ভূমিকম্পের আভাস পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

সেই বছর প্রথম ভূকম্পন অনুভূত হয় ১৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের পাশাপাশি কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট জেলাও। ৩ দশমিক ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্পে জানমালের তেমন ক্ষতি হয়নি।

২৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে মাঝারি মাত্রার জোড়া ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির আয়াবতি ও রাখাইন রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের কক্সবাজারেও ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার আগারগাঁও থেকে ৩৭৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।

চট্টগ্রামে ৩০ এপ্রিল ৪ দশমিক ৬ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল অক্ষাংশ ২২ দশমিক ৯৩ ডিগ্রি উত্তর, দ্রাঘিমা ৯৪ দশমিক ১৯ ডিগ্রি পূর্ব মিয়ানমারের মাউলাইকে। রাজধানীর ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এর দূরত্ব ছিল ৪০০ কিলোমিটার।

৫ মে রাজধানীতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল ঢাকার সিটি সেন্টার থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে দোহারে।

৫ জুন ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে বঙ্গোপসাগরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের কাছে বঙ্গোপসাগরের তলদেশে।

১৬ জুন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের গোলাপগঞ্জ, মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫।

এরপর ১৪ আগস্ট সিলেটে ফের ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। একই সঙ্গে ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায়ও এটি অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল আসামের মেঘালয়, গভীরতা ছিল ৩৫ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ২২৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে। 



ঠিক ১৬ দিনের মাথায় অর্থাৎ ২৯ আগস্ট সিলেট মহানগরীর আশপাশে ফের মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫। উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জৈন্তাপুরে।

৯ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যে ৪ দশমিক ৪ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প আঘাত হানে। আসামে আঘাত হানা ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের সিলেট জেলাও। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ২৬৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের আসামের কাছাড়ে।

১৭ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইল সদরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর অবস্থান।

২০২৩ সালে সর্বশেষ ২ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৫। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ। ঢাকার আগারগাঁও ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৬।


রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুই ভাইকে গুলি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুই ভাইকে গুলি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুই ভাইকে গুলি

 

     ছবি: সংগ্রহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ কাঁচা বাজারের কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন ও তার ভাই মাহবুবকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, একজনের পায়ে আর অন্যজনের পিঠে গুলি লেগেছে। বর্তমানে দুজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

তিনি আরো বলেন, বাজার কমিটির নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এমনটি হতে পারে।


হাসিনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ আদালতের

হাসিনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ আদালতের

হাসিনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ আদালতের

 

 
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একচ্ছত্র মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যে ট্রাইব্যুনাল ব্যবহার করে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর ‘বিচারিক হত্যাকান্ড’ চালিয়েছিল পুনর্গঠিত সেই ট্রাইব্যুনালই মসনদচ্যুত হাসিনার বিরুদ্ধে জারি করলো প্রথম গ্রেফতারি পরোয়ানা।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ পরোয়ানা (অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট) জারি করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন, শফিউল আলম মাহমুদ এবং মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। 


একই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ও আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ হত্যাকান্ডে জড়িত ৪৬ জনের বিরুদ্ধে। জুলাই-আগস্ট গণহত্যা তথা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত কোনো মামলায় এটিই প্রথম পরোয়ানা। পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেরও এটি প্রথম পরোয়ানা। এর মধ্য দিয়ে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করে আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওয়ারেন্টভুক্ত ৪৬ জনের মধ্যে আপিল বিভাগের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং ‘সুশীল বুদ্ধিজীবী’ ড. জাফর ইকবালের নামও রয়েছে।

প্রথম কার্যদিবসে গতকাল ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পৃথক ২টি আবেদন করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল উপরোক্ত আদেশ দেন। একটি মামলায় শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি করা হয়। আরেকটি মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানার আদেশ দেন। আদেশ প্রদানকালে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৮ নভেম্বর। এ সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে হাজির করতে বলা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে স্থাপিত ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে পড়ে ছিল। চীফ প্রসিকিউটর নিয়োগ দানের পর ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তীকালিন সরকার। এখনো সংস্কার কার্যক্রম চলমান। এ কারণে পাশের একটি ভবনে অস্থায়ীভাবে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১১টায় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারসহ অপর দুই সদস্য একসঙ্গে ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করেন। ট্রাইব্যুনালের প্রথম কার্যদিবস উপলক্ষে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিয়োগ করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। সকাল ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম। তিনি টানা ৪০ মিনিট দেড় দশকের আওয়ামী দুঃশাসনের মানবতাবিরোধী অপরাধের নানা তথ্য তুলে ধরেন। এর মধ্যে ছিল আওয়ামী শাসনামলে সংঘটিত গুম, খুন, শাপলা চত্বরে হত্যা, আয়নাঘর, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে হওয়া মামলার পরিসংখ্যান। বাদ যায়নি দুর্নীতির চিত্রও। 


মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আসামির বিরুদ্ধে তদন্তে গণহত্যার প্রাথমিক অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। আসামি দেশের একজন প্রভাবশালী নাগরিক। তিনি ক্ষমতাচ্যুত হলেও এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আসামির লোকজন বিভিন্ন পজিশনে দায়িত্বে রয়েছেন। তাই আলামত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া মামলার তদন্ত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করছি।

আবেদন উপস্থাপনের এক পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, রাষ্ট্রীয়ভাবে আসামির অবস্থান জানেন কি না? জবাবে চীফ প্রসিকিউটর বলেন, না। পরে ট্রাইব্যুনাল চীফ প্রসিকিউটরের আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আর ১৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ রেখে এ সময়ের মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করতে বলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ-ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার থেকেও গুলি করা হয়। এতে নারী, শিশু, ছাত্র, তরুণ-বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষের শত শত মানুষ নিহত হন। অঙ্গহানিসহ চোখ অন্ধ হয়ে যায় হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার নির্দেশে চালানো হয় দেশের ইতিহাসের বর্বরতম এ গণহত্যা। রক্তাক্ত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বর্বরতম দুঃশাসনের অবসান ঘটে। জনতার রোষে উৎখাত শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট গণভবন ছেড়ে পালিয়ে যান। আশ্রয় নেন তার দীর্ঘ স্বৈরশাসনের নেপথ্য বহির্শক্তি ভারতে। ছাত্র-জনতার রক্ত-ঋণে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থর্নীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূনের নেতৃত্বাধীন ‘অন্তর্বর্তীকালিন সরকার’। এ সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রতিশ্রুতি হচ্ছে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার দ্রুত বিচার। প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে গত ১৪ অক্টোবর পুনর্গঠিত হয় ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’। 


এ ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা, হাসিনার স্তাবক সংবাদকর্মী, শেখ হাসিনার সমর্থক শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন।

এদিকে ট্রাইব্যুনালের প্রধান আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, দু’টি আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তবে পরোয়ানাভুক্তদের মধ্যে কে কে রয়েছেন-তার সম্পূর্ণ নামের তালিকা প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে সবার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।

চীফ প্রসিকিউটর জানান, পরোয়ানাভুক্তদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও ছোট বোন শেখ রেহানা।

রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ, পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক র‌্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।

এর আগে গত ১৩ অক্টোবর চীফ প্রসিকিটির জানিয়েছিলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে। শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া হবে। 


প্রসঙ্গত: স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। ওই বছরের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এই ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রেক্ষিতে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে শেখ হাসিনার সরকার। মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মো: আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলী। এ ছাড়া জামায়াতের নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদন্ড দেয় এই ট্রাইব্যুনাল। বিচারিক প্রক্রিয়া চালু থাকতেই ইন্তেকাল করেন জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, সাবেক বিএনপি নেতা আবদুল আলীম। বিচার চলমান অবস্থায় মোহাম্মদ কায়সারও ইন্তেকাল করেন। শেখ হাসিনার করা ওই বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রশ্নের জন্ম দেয়। বিশেষ করে বাইরে থেকে লিখে দেয়া রায় ট্রাইব্যুনালে পাঠ, পক্ষপাতদুষ্ট ট্রাইব্যুনাল, তদন্ত দুর্বলতা, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, বানোয়াট অভিযোগ, সাজানো সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ,সুখরঞ্জন বালি’র মতো সাক্ষীদের ট্রাইব্যুনালের সামনে থেকে তুলে নেয়া ইত্যাদি কারণে ওই ‘বিচার’ আন্তর্জাতিকভাবেও বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়। বিচারের নামে বিরোধী দলকে নেতৃত্বশূন্য করায় এটিকে শেখ হাসিনার ‘বিচারিক হত্যাকান্ড’ বলেও আখ্যায়িত হয়। ভারত এবং শেখ হাসিনার টার্গেটেড রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হলে ঝিমিয়ে পড়ে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি ট্রাইব্যুনালকে একীভূত করা হয়। একটি ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকার্য চলছিলো। শেখ হাসিনার সরকারের করা ৩০টি মামলা এখনো ট্রাইব্যুনালে ‘বিচারাধীন’।

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

গাজায় রাস্তার কুকুর ছিঁড়ে খাচ্ছে মৃতদেহ: উদ্ধারকারী দল

গাজায় রাস্তার কুকুর ছিঁড়ে খাচ্ছে মৃতদেহ: উদ্ধারকারী দল

 

গাজায় রাস্তার কুকুর ছিঁড়ে খাচ্ছে মৃতদেহ: উদ্ধারকারী দল


 গাজার রাস্তায় মৃত্যুর মিছিল। এক বছর আগে অক্টোবর মাসে শুরু হওয়া সংঘর্ষের পর থেকে ইসরাইলি হামলা থেমে নেই। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র পড়ে আছে মৃতদেহ। বিমান, রকেট ও বোমা হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে অসংখ্য লাশ। মৃতদেহগুলো ছিঁড়ে খাচ্ছে রাস্তার কুকুর। 



উদ্ধারকারী দলের প্রধান ফেয়ার্স আফানা সংবাদমাধ্যম সিএনএনের কাছে দাবি করেছেন, তারা মূলত উত্তর গাজায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। সেখান থেকে প্রতি দিন দেহ উদ্ধার হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে- সব জায়গায় পৌঁছতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে তাদের, সেখানে মৃতদেহ পড়ে থেকে পচন ধরে যাচ্ছে। আকাশ, বাতাস কটূ গন্ধে ভরে উঠেছে। এমনকি এমন দৃশ্যও দেখা গিয়েছে যে, রাস্তায়, ধ্বংসস্তূপে পড়ে থাকা দেহগুলো পথকুকুরেরা ছিঁড়ে খাচ্ছে।

ফেয়ার্স আফানার আরও দাবি করেন, এ দৃশ্য শিউরে ওঠার মতো। কারও মাথা নেই, কারও হাত-পা, কারও আবার দেহের উপরিভাগ উধাও। এ ভয়ানক পরিস্থিতিতে দেহগুলি শনাক্ত করতেও বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। তার কথায়, ‘ইসরাইলি সেনা কোনো কিছুই ছাড়ছে না। ভূমি এবং আকাশ দুদিক থেকেই হামলা চালাচ্ছে তারা। ফলে উত্তর গাজার জাবালিয়া এখন ‘মৃতের শহরে’ পরিণত হয়েছে। ইসরাইলি সেনার দাবি, হামাস এই অঞ্চলে নিজেদের শক্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। ফলে উত্তর গাজায় হামলা আরও বাড়িয়েছে ইসরাইল।

আফানার বলেন, খাবারের খোঁজে বেরিয়েছিলেন একদল ফিলিস্তিনি। ক্ষুধার্ত সেই মানুষগুলির ওপরে হামলা চালায় ইসারাইলি সেনা। গাজায় গণহত্যা চলছে বলেও দাবি করেছেন উদ্ধারকারী দলের প্রধান। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় দাবি করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় ৬৫ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি গাজা প্রশাসনের। আহত প্রায় এক লাখ মানুষ।


১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাসিনাকে হাজির করার নির্দেশ

১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাসিনাকে হাজির করার নির্দেশ

 

১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাসিনাকে হাজির করার নির্দেশ


 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে তাকে গ্রেফতারের আবেদন করে প্রসিকিউশন।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

ট্রাইব্যুনালের সূচনা বক্তব্যে বিডিআর বিদ্রোহে ৭৪ জনকে হত্যা, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যা, র‍্যাবের বিচার বহির্ভূত হত্যা, জুলাই-আগস্ট গণহত্যাসহ আওয়ামী শাসনামলে মানবতা বিরোধী অপরাধের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।



ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) নিয়োগের পর প্রথম কর্মদিবসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী এদিন ট্রাইব্যুনালে আসেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও অন্য কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।

উল্লেখ্য, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়।


কোমরব্যথার যুগান্তকারী চিকিৎসাপদ্ধতি স্টপস

কোমরব্যথার যুগান্তকারী চিকিৎসাপদ্ধতি স্টপস

 

কোমরব্যথার যুগান্তকারী চিকিৎসাপদ্ধতি স্টপস

 

বিশ্বের ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় কোমরব্যথায় ভুগে থাকেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কোমরব্যথা পৃথিবীর শীর্ষ বিকলাঙ্গতা সৃষ্টিকারী রোগ।

কোমরব্যথা সাধারণত তিন ধরনের—স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি। যেসব কোমরব্যথার বয়স তিন মাস বা এর বেশি, সেগুলো দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক কোমরব্যথা। ক্রনিক কোমরব্যথার কারণ নির্ণয় করাটা খুব দুরূহ। ৯০ শতাংশ ক্রনিক কোমরব্যথার সুনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া যায় না; যেগুলো নন স্পেসিফিক লো ব্যাকপেইন বা NSCLBP নামে আখ্যায়িত করা হয়। 



কোমরব্যথার চিকিৎসার মধ্যে ব্যথার ওষুধ, ইলেকট্রোথেরাপি, স্টেরয়েড ইনজেকশন বেশি প্রচলিত। তবে চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট–এ ২০১৮ সালে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে উল্লিখিত প্রচলিত চিকিৎসাগুলো দীর্ঘ মেয়াদে প্রায় অকার্যকর বলে ঘোষণা করা হয়। গবেষণাপত্রে বায়ো-সাইকো-সোশ্যাল চিকিৎসার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

 
স্টপস কী

স্পেসিফিক ট্রিটমেন্ট অব দ্য প্রবলেমস অব দ্য স্পাইন সংক্ষেপে STOPS অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত একটি চিকিৎসাপদ্ধতি। এ চিকিৎসার মূলমন্ত্র, পুঙ্খানুপুঙ্খ রোগনির্ণয়। যেহেতু দীর্ঘমেয়াদি কোমরব্যথার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে না, তাই স্টপস কোমরব্যথার একাধিক কারণ নির্ণয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়।

এ কারণগুলোর মধ্যে শারীরিক যেমন পিএলআইডি, মানসিক যেমন ডিপ্রেশন, আর্থসামাজিক যেমন পারিবারিক অশান্তি চিহ্নিত করা হয়। এরপর কোমরব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে রোগী কী কী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে তার একটি তালিকা করা হয়। এ ছাড়া রোগীর পেশা ও বর্তমান কর্মপরিধি নিরূপণপূর্বক রোগী সুস্থ হওয়ার পর যেসব স্বাভাবিক কাজ করবেন, সে অনুযায়ী তাঁর ফিটনেসের উন্নতির দিকে গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ চিকিৎসাপদ্ধতির ধারা একেক রোগীর ক্ষেত্রে একেক রকম এবং ধারাটি নির্ভর করে রোগী ঠিক কী কী কারণে কোমরব্যথা অনুভব করছেন সেটির ওপর। 


 

স্টপস কতটা কার্যকর

বিশদ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, স্টপস যেকোনো সাধারণ চিকিৎসাপদ্ধতির চেয়ে অনেক কার্যকর ও সাশ্রয়ী। বাংলাদেশে কোমরব্যথার চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অনেক সময় রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এতে খরচ কয়েক গুণ, এমনকি শত গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়।

স্টপস কোমর ও মেরুদণ্ডের অন্যান্য ব্যথা, যেমন ঘাড়ব্যথার চিকিৎসাখরচ কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে। সপ্তাহে এক বা দুদিন এ চিকিৎসা নিতে হয় বলে ঘন ঘন হাসপাতালে যাতায়াত করতে হয় না। তাই বিশ্বে স্টপস অর্থসাশ্রয়ী অত্যন্ত কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে গণ্য হয়।


ডা. মোহাম্মদ আলী, বিভাগীয় প্রধান, ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।


ঈদ ও পূজার ছুটি নিয়ে নতুন যে সিদ্ধান্ত আসতে পারে

ঈদ ও পূজার ছুটি নিয়ে নতুন যে সিদ্ধান্ত আসতে পারে

 

ঈদ ও পূজার ছুটি নিয়ে নতুন যে সিদ্ধান্ত আসতে পারে

আগামী বছর থেকে দুই ঈদ এবং দুর্গাপূজার ছুটি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। দুই ঈদে পাঁচ দিন করে এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার ছুটি দুই দিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই প্রস্তাব বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উপস্থাপন হতে পারে। যেখানে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় পাঁচ দিন (ঈদের দিন ছাড়াও আগে-পরে দু’দিন করে) এবং পূজার ছুটি দুইদিন করা হতে পারে।

বর্তমানে দুই ঈদে তিন দিন করে এবং পূজায় ছুটি একদিন রয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ঈদের ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ ছাড়াও ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরার সুবিধার্থে কয়েক বছর ধরে নির্বাহী আদেশে ঈদের ছুটি এক দিন করে বাড়িয়ে আসছিল সরকার।

এদিকে ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল, ৫ আগস্ট সাধারণ ছুটি ঘোষণা এবং চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে আজ। এ ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের সভায় চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে।