সর্বশেষ

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নতুন তথ্য উপদেষ্টা হচ্ছেন মাহফুজ আলম

নতুন তথ্য উপদেষ্টা হচ্ছেন মাহফুজ আলম

 

নতুন তথ্য উপদেষ্টা হচ্ছেন মাহফুজ আলম

অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন তথ্য উপদেষ্টা হচ্ছেন মাহফুজ আলম। মঙ্গলবার মো. নাহিদ ইসলাম এই পদ থেকে পদত্যাগ করায় মাহফুজ আলম তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত। শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। মঙ্গলবার সরকারের একটি সূত্র যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মো. নাহিদ ইসলাম মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তার পদত্যাগের পর এ দুই মন্ত্রণালয়ের বিষয়টি আলোচনা আসে।

সূত্র জানায়, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কারণে নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ জরুরি ছিল। ফলে পরবর্তী তথ্য উপদেষ্টা কে হচ্ছেন, তা আলোচনায় আসে। এক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার বর্তমান প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নাম সবার আগে আলোচনায় আসে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা তাকে ছাড়তে চাননি। এ কারণে সম্প্রতি শফিকুল আলমকে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র সচিবের মর্যাদা দেওয়া হয়। এরপর তথ্য উপদেষ্টা হিসাবে মাহফুজ আলমের নাম চূড়ান্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

জানা যায়, মাহফুজ আলম ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেন। তবে তিনি কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২০ দিনের মাথায় ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসাবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক করেছেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে পতিত হাসিনা সরকারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাহফুজ আলম। যুক্তরাষ্ট্রের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা তাকে এই আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি গণ-অভু্যত্থানপরবর্তী ছাত্র, নাগরিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন।

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ


 শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ (১৪ ডিসেম্বর)। ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠসন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবী হত্যার ঠিক দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।


আজ সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও ৭টা ৬ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তারা জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার অংশ হিসেবে সেখানে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন। এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রীয় স্যালুট জানাবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা এবং যুদ্ধাহত ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ৭টা ২২ মিনিটে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়া সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সর্বস্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।


দিবসটি উপলক্ষে সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণী দিয়েছেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকালে নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৯টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃত্বসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।


বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

আসুন এক জোট হই, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেই: প্রধান উপদেষ্টা

আসুন এক জোট হই, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেই: প্রধান উপদেষ্টা

আসুন এক জোট হই, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেই: প্রধান উপদেষ্টা

 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা এই আহ্বান জানান।

সংলাপের সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের এই বিরাট অভ্যুত্থান যাদের পছন্দ হয়নি, তারা একে মুছে দিতে চায়। আড়াল করতে চায়। এটাকে নতুন ভঙ্গিতে দুনিয়ার সামনে পেশ করতে চায়। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে একজোট হতে হবে। এখানে কোনো বিশেষ রাজনৈতিক মতবাদের বিষয় না, জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্বের বিষয়।’


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে এমন ইঙ্গিত করে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের নতুন বাংলাদেশের যাত্রাপথে এটা একটা মস্ত বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্তিত্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই জিনিসটা যেন আমরা ঠিকভাবে মোকাবিলা করতে ভুল না করি। সেটার জন্য সকলের পরামর্শ নিয়ে আমরা যেন একযোগে কাজ করতে পারি। সবাই মিলে করলে একটা সমবেত শক্তি আসবে।’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম দিন ৫ আগস্ট থেকে যড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত নেৃতবৃন্দকে বলেন, ‘তবে এখন যে চেষ্টা চলছে, তার বিশেষ একটা রূপ আছে। সেজন্য আপনাদের বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছি। এটা হচ্ছে, যে বাংলাদেশ আমরা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, সেটাকে ধামাচাপা দিয়ে আরেক বাংলাদেশের কাহিনি তারা রচনা করছে। সারাক্ষণ এটার নানা রূপরেখা তারা দিয়ে যাচ্ছে। এটা যে এক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে, তা নয়। বিশেষ বিশেষ বড় বড় দেশের মধ্যে জড়িয়ে গেছে।’

 অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘যারা অপতথ্য ছড়াচ্ছে তাদের আমরা বার বার বলছি, আপনারা আসেন, দেখেন। এখানে কোনো বাধা নেই। এখানে কী বলার বাধা আছে? দেখার বাধা আছে? কিন্তু না, তারা কল্প-কাহিনি বানিয়ে যাচ্ছেন। এখন আমাদের সারা দুনিয়াকে বলতে হবে, আমরা এক। আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি একযোগে পেয়েছি। কোনো মতভেদের মাধ্যমে পাইনি, কাউকে ধাক্কাধাক্কি করে পাইনি। যারা আমাদের বুকের ওপর চেপে ছিল, তাদের বের করে দিয়েছি। আমরা নিজেরা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। সেই জিনিসটা সবার সামনে তুলে ধরতে হবে।’

সরকার প্রধান বলেন, কীভাবে তুলে ধরব, সে ব্যাপারে পরামর্শ জানতে চাই। সবাই মিলে যেন কাজটি করতে পারি।


সরকারের আহ্বানে সংলাপে অংশ নেওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কেন জানি ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত হতে পারছি না। আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে জগদ্দল পাথর সরাতে পারলাম, এ নিয়ে আমাদের আনন্দ করার কথা। কিন্তু আমাদের এই মুক্তি, আমাদের এই স্বাধীনতা অনেকের কাছে পছন্দ হচ্ছে না। নানাভাবে, নানা জায়গা থেকে এটাকে উল্টে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে কত রকমভাবে তা এসেছে, আপনারা বাস্তবের পরিপ্রেক্ষিতে সেগুলো দেখেছেন। এই পরিস্থিতিতে মনে করেছিলাম দুর্গাপূজা আসছে, এটা নিয়ে একটা হাঙ্গামা শুরু হবে। সেখানে আমরা ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলাম, সবাই সেই ঐক্যের মধ্যে শরিক হয়েছিলেন। সারাদেশজুড়ে খুব শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন হয়েছে, আমরা সবাই উপস্থিত ছিলাম।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সারাদেশ পূজার আনন্দে সবাই শরিক হয়েছিল। কোনো জায়গা থেকে কোনো রকমের বিশৃঙ্খলা, কটূক্তি কিছুই হয়নি। সেটাও অনেকের পছন্দ হয়নি। আবার নতুন নতুন বেশে নতুনভাবে চেষ্টা করেই যাচ্ছে।’

ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্ধৃত করে অধ্যাাপক ইউনূস বলেন, ‘তারা গণঅভ্যুত্থানকে একটা ভয়ংকর কাণ্ড হিসেবে দেখাতে চাইছে। তারা বলছে, বাংলাদেশে একটা ভয়ংকর কাণ্ড হয়ে গিয়েছে, সেই ভয়ংকর কাণ্ড থেকে রক্ষা করতে হবে। তারা রক্ষার জন্য এগিয়ে আসতে চায়। তাদের অপপ্রচারকে মিথ্যা প্রমাণ করে বাস্তবকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সেটার জন্য আমাদের সবাইকে একজোট হতে হবে।’

ইউনূস বলেন, ‘এখানে কোনো বিশেষ রাজনৈতিক মতবাদের বিষয় না, জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্বের বিষয়। আমরা মুক্ত, স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করলাম অভ্যুত্থানের মাধ্যমে, সেটাকে তারা মুছে দিতে চায়। তারা আগেরটাতে ফিরে যেতে চায়। আগেরটা কীভাবে তারা নিয়ে আসবে? তারা একটা কাল্পনিক বাংলাদেশ তৈরি করে রাখতে চায়। তাদের শক্তি অনেক বেশি। অর্থশক্তি এবং আয়োজনের শক্তি এত বেশি ক্রমে ক্রমে তারা মানুষকে বোঝাতে নতুন নতুন কল্প-কাহিনি তৈরি করছে, সেটাতে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছেন।


অভিশংসনের মুখে দ. কোরিয় প্রেসিডেন্ট ইউন

অভিশংসনের মুখে দ. কোরিয় প্রেসিডেন্ট ইউন

 অভিশংসনের মুখে দ. কোরিয় প্রেসিডেন্ট ইউন

দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্প্রতি মার্শাল ল জারি করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা বাতিল করতে বাধ্য হন তিনি।

ইউনের এই পদক্ষেপে দেশটির পার্লামেন্ট এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এমনকি বিরোধী দলগুলো ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাবও উত্থাপন করেছে।


প্রেসিডেন্ট ইউন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মার্শাল ল জারি করেন। তিনি ঘোষণা করেন, ‘উত্তর কোরিয়াপন্থি শক্তির হুমকি থেকে দেশকে রক্ষা ও সাংবিধানিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে’ মার্শাল ল জরুরি হয়ে উঠেছে। 

তবে তার এই পদক্ষেপকে দেশটিতে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা হিসেবে দেখা হয়।

ঘোষণার পরই সশস্ত্র সেনারা সিউলের জাতীয় সংসদ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে সংসদ সদস্যদের প্রতিরোধ ও কর্মীদের ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার তাদের থামিয়ে দেয়।

এর পরই পার্লামেন্টে ১৯০ জন সদস্য উপস্থিত থাকাকালীন সর্বসম্মতভাবে মার্শাল ল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট ইউন তার ঘোষণার ছয় ঘণ্টার মধ্যেই মার্শাল ল প্রত্যাহার করেন।

অর্থনীতি ও বাজারে প্রতিক্রিয়া

মার্শাল ল ঘোষণার পর দক্ষিণ কোরিয়ার স্টক মার্কেট প্রায় ১.৩% পড়ে যায় এবং হুন্দাই মোটর এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়।

অর্থমন্ত্রী চোই স্যাং-মক বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার সীমাহীন তরল অর্থ সরবরাহ করবে।

এদিকে বিরোধী পক্ষের ছয়টি দল বুধবার সংসদে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব উত্থাপন করে। ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা কিম ইয়ং-মিন বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না’।


অভিশংসনের জন্য অবশ্য পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন। অভিশংসনের পর সাংবিধানিক আদালতে বিচার প্রেসিডেন্টের হবে, যেখানে ৯ জন বিচারকের মধ্যে ৬ জনের অনুমোদন লাগবে।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় দেশটির নাগরিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো মোমবাতি মিছিল করে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানায়।

মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইউনের মার্শাল ল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রাজনৈতিক মতভেদ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ইউনের জনপ্রিয়তা প্রায় ২০ শতাংশে নেমে এসেছে এবং তার বিরোধীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্রের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মার্শাল ল ঘোষণার মতো অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ এবং দেশটির স্থিতিশীলতায় গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। সূত্র: রয়টার্স


শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

সাংবাদিক ইলিয়াস ফাঁস করলেন সশস্ত্র হামলার ভয়ঙ্কর তথ্য

সাংবাদিক ইলিয়াস ফাঁস করলেন সশস্ত্র হামলার ভয়ঙ্কর তথ্য

সাংবাদিক ইলিয়াস ফাঁস করলেন সশস্ত্র হামলার ভয়ঙ্কর তথ্য


বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতে এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের তথ্য নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। শুক্রবার রাতে ‘পুলিশ, আনসারের সমম্বয়ে গঠিত বাহিনী নিয়ে সশস্ত্র গেরিলা আক্রমনের পরিকল্পনা’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতেই তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

প্রতিবেদনে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড.আই খান পান্নার নেতৃত্বে সরকার উৎখাতে কিভাবে সশস্ত্র গেরিলা হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে-এমন কিছু প্রমাণ তুলে ধরা হয়।
এরআগে গত ২১ নভেম্বর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা গণহত্যার মূলহোতা ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। এ ছাড়া ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিতে আহত আহাদুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর দায়ের হওয়া একটি মামলায় জেড আই খান পান্না ছিলেন আসামি। ২০ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ তাকে আগাম জামিন দিয়ে দেন। আহাদুলের পিতা মো: বাকের বাদী হয়ে এ মামলা করেছিলেন। ২১ অক্টোবর এজাহার থেকে বাদ দেয়া হয় পান্নার নাম। 


দৈনিক ইনকিলাবের পাঠকদের জন্য প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের প্রতিবেদনটির শেষ সাত মিনিটের গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হুবহু তুলে ধরা হল।
ভিডিওতে সাংবাদিক ইলিয়াস বলেন, দেশের জন্য বিপজ্জনক কতটা সেটা জানতে চলুন, শুরুতেই যে প্রলয়ঙ্করী ঝড়ের কথা বলেছিলাম সেখানে ফিরে যাওয়া যাক। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা পাঁচ তারিখের (৫ আগস্ট) পর থেকে দেশে নানাভাবে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেটাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে একটা সামরিক অভিযান চালানো যায়।

এই দাঙ্গা বাঁধাতে ভারতীয় গোয়েন্দারা আওয়ামী লীগ, হিন্দু এবং ইসকনকে কিভাবে ব্যবহার করছে সেই পরিকল্পনার ছক এখন বাংলাদেশী গোয়েন্দাদের হাতে।
ইলিয়াস হোসাইন বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে যেসব তথ্য আমার কাছে পৌঁছেছে তা রীতিমত এই দেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। শুরুতেই আওয়ামী লীগ, হিন্দু আর ভারতের এই চক্রান্ত যদি সঠিকভাবে মোকাবেলা করা না যায় তাহলে অচিরেই বাংলাদেশের অবস্থা হবে হায়দ্রাবাদের মতো।

এই চক্রান্তে জড়িত আওয়ামী লীগ, সনাতনী এবং ইসকনের অন্তত: ৪০টি হোয়াটসআপ গ্রুপ এবং জুম মিটিং এর ভিডিও হাতে পেয়েছে গোয়েন্দারা। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত এসব তথ্যে যা উঠে এসেছে তা আঁতকে ওঠার মতো!
ইলিয়াস বলেন, এসব গ্রুপগুলোতে রীতিমত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। গ্রুপে তাদের সাথে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতা থেকে বর্তমান সেনাবাহিনীতে চাকরিরত জেনারেল পর্যন্ত মাঝেমধ্যেই নাকি যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি করেন ইলিয়াস হোসাইন।

ভিডিওর একপর্যায়ে বলতে শোনা যায়, ‘নানক ভাই থেকে শুরু করে আমাদের সুজিত তারপর আরো অনেক টপ লেভেলের যারা মন্ত্রী মিনিস্টার প্রতিমন্ত্রী তারপরে ইভেন কামাল ভাই আমাদের সাথে যুক্ত আছেন। বিশেষভাবে ইভেন রাষ্ট্রপতির একেবারেই যে একেবারে মানে রাইট হ্যান্ড সচিব উনিও আমাদের সাথে দুইদিন জয়েন করছেন। তো এখন উনারা আসলে ভালো হইতো। যারা যারা আছেন আসলে ভালো হইতো, অনেকেই আমাদের এখানে প্রায় ১২ থেকে ১৩ জন এমপি এসে কথা বলেছেন যেটা আপনারা জানেন না ঠিক আছে! বাংলাদেশের একেবারেই টপ লেভেল সামরিক বাহিনীর চার থেকে পাঁচজন জেনারেল লেভেলের লোকজন উনারা এসে এখানে বসে থেকে আমাদের লাইভ শুনে গেছেন! আমাদের প্রধানমন্ত্রী উনি নিজে এসে বসে থেকে গেছেন।’

এরপর ইলিয়াস হোসাইন আরো বলেন, গ্রুপের সবচেযে ভয়ঙ্কর তথ্য পাওয়া গেছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা জেড আই খান পান্নার মেসেজ থেকে আওয়ামী এই আইনজীবী শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকা- নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন জেড আই খান পান্না। একটি চ্যাটিংয়ে তিনি লিখেছেন, ‘দাঁড়িওয়ালা উকিল বেশি হয়ে গিয়েছে, আরো দু-একটারে খেয়ে দেয়া দরকার। আদালতে আমরা আছি, এখন অল্প কয়দিন জেলে থাকলেও ৩০ তারিখের পরে পুরস্কার পাবা।

আরেকটি মেসেজে তিনি লিখেছেন, ‘সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে তোমাদের কারণে। কালকে সব হয়ে যেত । পরিকল্পনা ছিল কুপিয়ে মারার পর হিন্দুদের বাড়িতে হামলা হলে ভারত থেকে ট্রুপ চলে আসবে, ওরা যেহেতু হামলা করেনি তোমাদেরই উচিৎ ছিল নিজেরা নিজেদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া। পেছনের ঘটনা বাদ দিয়ে ৩০ তারিখের পরিকল্পনায় মনোযোগী হও সবাই।

ভিডিওতে ইলিয়াস হোসাইন আরো বলেন, ‘শহীদ আলিফ হত্যাকা- নিয়ে আরেকজন লিখেছেন, ‘কালকে আদালতে একটা লাশ পড়বে। হিন্দু ভাইদের পাশে আমাদের সবাইকে থাকতে হবে। ব্রিগেড মেজরের কমান্ড মেনে চলতে হবে। ৩০ তারিখে কর্মসূচি নিয়ে গ্রুপটিতে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ দখলের ভয়ঙ্কর সব আলোচনা করার ভিডিও হাতে এসেছে আমাদের।’ 


এসময় আরেকটি অডিও রেকর্ডিংয়ে একজনকে বলতে শোনা যায়. ‘৫ হাজার অস্ত্র আছে, একে-৪৭ রাইফেল আছে। পুলিশ ও লীগের ক্যাডার মিলিয়ে ১৭শ’ গেরিলা প্রস্তুত করা হয়েছে ৩০ নভেম্বরের জন্য। আমরা ইতিমধ্যে কথা বলেছি পুলিশের সাথে, উত্তরা আশুলিয়া থেকে শুরু করে ঢাকা শহর ব্লক করে দখলে নেয়া হবে...’। 

এসময় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন আরো বলেন, এই কাজ সমর্থনে সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য পুরো দেশকে মোট দশটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যেখানে একজন করে ব্রিগেড মেজর নিয়োগ দেয়া হয়েছে যাদের সবাই দেশেই অবস্থান করছেন। এর মধ্যে গ্রুপে প্রাপ্ত জেড.আই খান পান্নার নম্বরটিতে মেসেজ পাঠানো হলে মুহূর্তেই সাড়া দেন তিন্ িকল করতেই গড় গড় করে সবকিছু স্বীকার করেন জেড আই খান পান্না। ৩০ তারিখ ৫০ থেকে ৮০ ভাগ পুলিশ-আনসার এমনকি সচিবালয়ের আমলারাও তাদের পক্ষে মাঠে নামবে বলে স্বীকার করেন গেরিলা আক্রমণের পরিকল্পনাকারী জেড আই খান পান্না।

সাংবাদিক ইলিয়াস বলেন, পালিয়ে যাবার আগে এই ভিডিও প্রচারের সাথে সাথে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাকে ( জেড আই খান পান্না) গ্রেফতার করতে হবে। তাহলে চক্রান্তকারীদের আরো পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া যেতে পারে। ভবিষ্যতে এ ধরণের ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে গ্রুপে থাকা সকলের মোবাইল নম্বর এবং চেহারা দেখে শনাক্তের পর দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।

ইলিয়াস বলেন, ‘সূত্র জানিয়েছে .... প্রধানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে চলছে,
এসব দেশবিরোধী তৎপরতা! আর্মিকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হলেও তাদেরকে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে দেয়া হচ্ছে না। যে কারণে আওয়ামী লীগ নেতারা বেশিরভাগ এখনো দেশে থাকলেও তাদেরকে ধরা হচ্ছে না। অতএব সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ হাসিনাপন্থী অফিসারদেরকে দ্রুত সেনাবাহিনী থেকে সরাতে হবে। পাঁচ তারিখ সেনাপ্রধান যে ভূমিকা রেখেছেন তার জন্য তিনি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। ’

ইলিয়াস বলেন, ‘মনে রাখতে হবে সেনাবাহিনী আমাদের আস্থার প্রতীক, সিনিয়র অফিসারদের দেশবিরোধী আদেশ এলে সৈনিকদেরকে নিযে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনাদের মত দেশপ্রেমিকদের সংখ্যাই এখনো সেনাবাহিনীতে বেশি। দেশের যে কোন সেনাবাহিনী যদি জনগণকে ডাক দেয় তাহলে এদেশের প্রতিটি মানুষ জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’

সাংবাদিক ইলিয়াস আরো বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে থাকা ভারতীয় গুপ্তচরকে ......দ্রুত সরাতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার সাথে ছাত্রনেতাদের সাক্ষাতের পথ সহজ করতে হবে।’ প্রভাবশালী একজন উপদেষ্টার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অসৎ উদ্দেশ্যে মাহফুজ আলমকে তার পাশ থেকে সরিয়েছেন অতএব যত দ্রুত সম্ভব মাহফুজ আলমকে আবারো বিশেষ সহকারীর পদে ফিরিয়ে আনতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নাহিদ এবং আসিফদের মতামতপ প্রধান উপদেষ্টাকে গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। জেড আই খান পান্নাদের ষড়যন্ত্র এবার সফল না হলেও এই ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে শত্রু আপনাদের ঘরের কোণেই।’

তিনি বলেন ‘ভারত যদি বাংলাদেশে আক্রমণ করে তাহলে সবার আগে আওয়ামী লীগ আর শ্রীকৃষ্ণের ভক্তরাই আপনার গলায় ছুরি ধরবে। অতএব শত্রুরা যেন আবারো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভারতের কাছে বিক্রি করতে না পারে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে আল্লাহ হাফেজ।

উপরোক্ত বক্তব্য প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের একান্ত ব্যক্তিগত মতামত ও তথ্যের ভিত্তিতে তার ইউটিউব চ্যানেল হতে সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে দেনিক ইনকিলাবের কোন দায়িত্ব বা দায়ভার নাই।

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

২৪ ঘণ্টা আয়নাঘরে থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছিল: উপদেষ্টা নাহিদ

২৪ ঘণ্টা আয়নাঘরে থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছিল: উপদেষ্টা নাহিদ

২৪ ঘণ্টা আয়নাঘরে থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছিল: উপদেষ্টা নাহিদ

আয়নাঘরে থাকার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, যেখানে মানুষকে গুম করা হতো, সেখানে আমারও ২৪ ঘণ্টা থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমি থেকেছি সেই রুমটায় এবং দেখেছি দেয়ালে তাদের লেখা, যারা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বন্দি ছিলেন।



বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে বিদ্রূপ ও উপহাসের রাজনীতি: জুলাই বিদ্রোহের সময় কার্টুন ও গ্রাফিতি শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, আয়নাঘরের ভয়াবহ অভিজ্ঞতাসহ নিপীড়নের গল্প এতটাই ভয়াবহ যে ভুক্তভোগীরা এখনো সেগুলো বলতে চায় না। যেখানে সরকার থেকে তাদেরকে বারবার বলতে অনুরোধ করা হচ্ছে, কিন্তু তারপরও তারা বলতে চায় না, তাদের সেই অভিজ্ঞতাগুলো এতটাই ভয়াবহ ছিল।

তিনি বলেন, প্রায় ষোলশর মতো আবেদন করেছে গুম কমিশনে এবং সংখ্যাটা বেড়ে পাঁচ হাজার হতে পারে। মানে পাঁচ হাজার মানুষের গুমের অভিজ্ঞতা হয়েছে গত ১৫-১৬ বছরে। এই যে তাদের অভিজ্ঞতাগুলো, এগুলো পুরোটাই এড়িয়ে ছিল আমাদের রাষ্ট্রের। আমরা এই কথাগুলো কেউ বলতে পারতাম না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনটা আসলে দেয়াল লিখন এবং আর্টওয়ারের মাধ্যমে এগিয়েছে। আমরা এখন চিন্তা করছি এগুলো সংরক্ষণ করার। মানুষ আসলে কী বলতে চেয়েছিল এবং মানুষ আসলে কী বলতে চায় এগুলোর উপাদান আমরা সেখানে পাবো।


মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আওতাধীন জোনাল সেটেলমেন্ট ও উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের রাজস্ব খাতভুক্ত জনবল নিয়োগে আবারও সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে ১৪ ক্যাটাগরির পদে গত মার্চ মাসে ৩ হাজার ১৭ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি সংশোধন করে ২ হাজার ৫২৪ পদের বিপরীতে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যেখানে ৪৯৩টি পদ কমানো হয়। এবার দ্বিতীয় দফায় সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে। যারা এর আগে আবেদন করেছেন, তাদের আর আবেদনের প্রয়োজন নেই। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ৫

যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান পাস। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। সাঁটলিপিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে ৮০ ও বাংলায় ৫০ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে ৩০ ও বাংলায় ২৫ শব্দ।

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড ১৩)

২. পদের নাম: সার্ভেয়ার

পদসংখ্যা: ৮৫

যোগ্যতা: চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) টেকনোলজি ডিগ্রি থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড ১৪)

৩.পদের নাম: ট্রাভার্স সার্ভেয়ার

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) টেকনোলজি ডিগ্রি থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৫)

৪. পদের নাম: কম্পিউটর

পদসংখ্যা: ৮

যোগ্যতা: চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) টেকনোলজি ডিগ্রি থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৫)

৫. পদের নাম: ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ১২

যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; হালকা বা ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৫)

৬. পদের নাম: নাজির কাম ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা: ১৭

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৬)

৭. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা: ২১

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৬)

৮. পদের নাম: পেশকার

পদসংখ্যা: ৩৭৮

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৬)

৯. পদের নাম: রেকর্ডকিপার

পদসংখ্যা: ২৯১

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৬)

১০. পদের নাম: খারিজ সহকারী

পদসংখ্যা: ৪৭৪

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৬)

১১. পদের নাম: যাঁচ মোহরার

পদসংখ্যা: ৪২২

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৬)

১২. পদের নাম: কপিস্ট কাম বেঞ্চ সহকারী

পদসংখ্যা: ৪৮০

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৬)

১৩. পদের নাম: অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ১৮২

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড ২০)

১৪. পদের নাম: চেইনম্যান

পদসংখ্যা: ১৪৫

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড ২০)

শর্ত

সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত ২৩ জুলাই প্রকাশিত কোটাসংক্রান্ত বিধি অনুসরণ করা হবে।

যেভাবে আবেদন

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইন ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হবে না। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আবেদন ফি

অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ১২ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা এবং ১৩ ও ১৪ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ২৬ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।